আমাদের গলার ভেতরের দিকে, খাদ্যনালী এবং শ্বাসনালীর সংযোগস্থলে অবস্থিত লিম্ফয়েড টিস্যুর দুটি ছোট অংশ হলো টনসিল। এরা দেখতে অনেকটা বাদামের মতো এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টনসিলগুলো মূলত শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে এবং মুখ ও নাক দিয়ে প্রবেশকারী জীবাণু, যেমন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া, থেকে শরীরকে রক্ষা করতে প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করে। যখন এই টনসিলগুলো সংক্রমিত হয় বা প্রদাহগ্রস্ত হয়, তখন তাকে “টনসিলাইটিস” বলা হয়। এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। এই ব্লগ পোস্টে, একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি টনসিলাইটিসের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং এর সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ অস্ত্রোপচার, টনসিলেক্টমি, সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
টনসিলাইটিস কী? একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা
টনসিলাইটিস হলো টনসিলের প্রদাহ, যা সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই প্রদাহের ফলে টনসিল ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং কখনও কখনও এর উপর সাদা বা হলুদ আবরণ বা দাগ দেখা যায়। এটি এক ধরণের সংক্রমণ যা খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপকে ব্যাহত করতে পারে।
টনসিলাইটিসের লক্ষণসমূহ:
টনসিলাইটিসের লক্ষণগুলো হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে এবং এর তীব্রতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
তীব্র গলা ব্যথা: এটি টনসিলাইটিসের প্রধান এবং সবচেয়ে কষ্টদায়ক লক্ষণ, যা গিলতে গেলে আরও বাড়ে। কখনও কখনও ব্যথা কান পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, যা হালকা থেকে উচ্চ মাত্রার হতে পারে।
মাথাব্যথা: গলা ব্যথার সাথে প্রায়শই মাথাব্যথা দেখা যায়।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা: সংক্রমণের কারণে শরীর দুর্বল এবং ক্লান্ত অনুভব করতে পারে।
কানের ব্যথা: কখনও কখনও গলা ব্যথার তীব্রতা কানের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যাকে “রেফার্ড পেইন” বলা হয়।
টনসিলের ফোলা এবং লালচে ভাব: পরীক্ষা করলে টনসিলগুলো ফোলা, লাল এবং প্রদাহগ্রস্ত দেখা যায়। কখনও কখনও এর উপর সাদা বা হলুদ পুঁজ বা দাগ দেখা যেতে পারে।
গলার লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া: গলার দু’পাশে বা চোয়ালের নিচে লসিকা গ্রন্থিগুলো (লিম্ফ নোড) ফুলে যেতে পারে এবং স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
কষ্টকর গিলন (Dysphagia): গলা ব্যথার কারণে খাবার বা পানীয় গিলতে অসুবিধা হওয়া।
মুখের দুর্গন্ধ (Halitosis): টনসিলের সংক্রমণের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন: গলা ব্যথার কারণে কণ্ঠস্বর ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে: বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা এবং অনীহা দেখা দিতে পারে।

টনসিলাইটিসের কারণসমূহ:
টনসিলাইটিস মূলত দুই ধরণের জীবাণু দ্বারা হয়:
ভাইরাস: বেশিরভাগ টনসিলাইটিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। এর মধ্যে সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস (Rhinovirus), ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস, Epstein-Barr ভাইরাস (যা মনোনিউক্লিওসিস সৃষ্টি করে) এবং হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস উল্লেখযোগ্য। ভাইরাল টনসিলাইটিস সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম তীব্র হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না।
ব্যাকটেরিয়া: ব্যাকটেরিয়াল টনসিলাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো স্ট্রেপ্টোকক্কাস পাইরোজেনেস (Streptococcus pyogenes) নামক ব্যাকটেরিয়া, যা Group A Streptococcus নামেও পরিচিত। এই ধরণের সংক্রমণকে “স্ট্রেপ থ্রোট” বলা হয়। স্ট্রেপ থ্রোটের চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে করা অত্যাবশ্যক, কারণ চিকিৎসা না করা হলে রিউম্যাটিক ফিভার বা কিডনির প্রদাহের মতো গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে। অন্যান্য বিরল ব্যাকটেরিয়াও টনসিলাইটিস ঘটাতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যদি আপনার বা আপনার সন্তানের নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকে, তবে দ্রুত একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
তীব্র গলা ব্যথা, যা গিলতে খুব কষ্ট হয় এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা দেয়।
উচ্চ জ্বর (১০১° ফারেনহাইট বা তার বেশি)।
শ্বাস নিতে বা গিলতে গুরুতর অসুবিধা।
ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া বা ঘাড় নড়াচড়া করতে ব্যথা।
কণ্ঠস্বরে তীব্র পরিবর্তন বা ফ্যাসফ্যাসে আওয়াজ।
একতরফা গলা ব্যথা বা টনসিলের আশেপাশে ফোলা (Peritonsillar Abscess-এর লক্ষণ হতে পারে)।
মুখে তীব্র দুর্গন্ধ, যা স্বাভাবিক পরিচর্যা সত্ত্বেও যাচ্ছে না।
শরীরে র্যাশ (স্ট্রেপ থ্রোটের কারণে স্কার্লেট ফিভার হতে পারে)।
টনসিলাইটিসের চিকিৎসা:
টনসিলাইটিসের চিকিৎসা এর কারণের উপর নির্ভর করে।
ভাইরাল টনসিলাইটিস: যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের উপর কাজ করে না, তাই ভাইরাল টনসিলাইটিসের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। এর পরিবর্তে, লক্ষণগুলি উপশম করার উপর জোর দেওয়া হয়:
বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পান: প্রচুর পরিমাণে জল, জুস বা উষ্ণ স্যুপ পান করা ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে এবং গলা ভেজা রাখে।
উষ্ণ লবণ জল দিয়ে গার্গল: উষ্ণ লবণ জল দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা উপশম হয় এবং গলা পরিষ্কার থাকে।
ব্যথানাশক ঔষধ: প্যারাসিটামল (Paracetamol) বা আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক জ্বর ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ ব্যবহার করতে হবে।
গলা ব্যথা উপশমকারী লজেন্স: কিছু লজেন্স বা স্প্রে গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াল টনসিলাইটিস (স্ট্রেপ থ্রোট): যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে টনসিলাইটিস হয়, তবে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স লিখে দেবেন। পেনিসিলিন বা অ্যামোক্সিসিলিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা: অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্সটি শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি আপনি ভালো অনুভব করেন তাহলেও। অসম্পূর্ণ কোর্স জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন রিউম্যাটিক ফিভার (যা হৃৎপিণ্ড, জয়েন্ট এবং মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে) বা কিডনির সমস্যা (পোস্ট-স্ট্রেপ্টোকক্কাল গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস)।
টনসিলেক্টমি (Tonsillectomy) কী?
টনসিলেক্টমি হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টনসিল অপসারণ করা। এটি একটি সাধারণ অস্ত্রোপচার, যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে করা হলেও প্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রয়োজন হতে পারে। যখন টনসিলাইটিস বারবার হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো ফল পাওয়া যায় না, তখন এই অস্ত্রোপচার বিবেচনা করা হয়।
কখন টনসিলেক্টমি প্রয়োজন?
টনসিলেক্টমি সাধারণত নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে সুপারিশ করা হয়:
বারবার টনসিলাইটিস:
যদি একজন ব্যক্তি এক বছরে ৭ বা তার বেশি বার টনসিলাইটিসে আক্রান্ত হন।
গত দুই বছরে প্রতি বছরে ৫ বা তার বেশি বার আক্রান্ত হন।
অথবা গত তিন বছরে প্রতি বছরে ৩ বা তার বেশি বার আক্রান্ত হন।
বিশেষ করে যদি এই বারবার সংক্রমণ অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসাতেও ভালোভাবে সাড়া না দেয়।
স্লিপ অ্যাপনিয়া (Sleep Apnea) বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত: বড় এবং ফোলা টনসিলের কারণে যদি ঘুমের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়, যা ঘুমকে ব্যাহত করে এবং দিনের বেলা ক্লান্তি সৃষ্টি করে।
টনসিলের আশেপাশে ফোড়া (Peritonsillar Abscess): যদি বারবার টনসিলের আশেপাশে পুঁজ জমে ফোড়া হয়, যা তীব্র ব্যথা এবং গলার একপাশে ফোলা সৃষ্টি করে। এই অবস্থা সাধারণত ড্রেন করার প্রয়োজন হয় এবং পরবর্তীকালে টনসিলেক্টমি সুপারিশ করা হয়।
অন্যান্য জটিলতা:
টনসিলের কারণে যদি গিলতে গুরুতর অসুবিধা হয়, যা পুষ্টি গ্রহণকে প্রভাবিত করে।
শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বিশেষ করে রাতে।
টনসিল থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত (বিরল)।
টনসিলের একপাশে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা সন্দেহজনক পরিবর্তন, যা ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
টনসিলেক্টমি পদ্ধতি:
টনসিলেক্টমি একটি সাধারণ অস্ত্রোপচার, যা সাধারণত জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়ার অধীনে (রোগী ঘুমিয়ে থাকে) করা হয়। অস্ত্রোপচারটি সাধারণত ২০-৪৫ মিনিট সময় নেয়। সার্জন বিভিন্ন কৌশলে টনসিল অপসারণ করতে পারেন:
[ইন-বডি ইমেজ ২ এর জন্য ট্যাগ]
কোল্ড নাইফ ডিসেকশন (Cold Knife Dissection): এটি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি, যেখানে স্ক্যাল্পেল ব্যবহার করে টনসিল কাটা হয় এবং রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সেলাই বা কটারি ব্যবহার করা হয়।
কটারি (Electrocautery): উচ্চ তাপ ব্যবহার করে টিস্যু কাটা হয় এবং একই সাথে রক্তনালীগুলো পুড়িয়ে রক্তপাত বন্ধ করা হয়।
কোবলেশন (Coblation): রেডিওফ্রিকোয়েন্সি শক্তি ব্যবহার করে কম তাপমাত্রায় টিস্যু অপসারণ করা হয়, যা আশেপাশের টিস্যুর ক্ষতি কমায় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
লেজার টনসিলেক্টমি (Laser Tonsillectomy): লেজার ব্যবহার করে টনসিল অপসারণ করা হয়, তবে এটি খুব বেশি প্রচলিত নয়।
অস্ত্রোপচারের পর সাধারণত কয়েক ঘন্টা বা একদিনের জন্য হাসপাতালে থাকতে হয় রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য।
অস্ত্রোপচারের পর যত্ন এবং আরোগ্য লাভ:
টনসিলেক্টমি একটি নিরাপদ অস্ত্রোপচার হলেও, এর পরে আরোগ্য লাভের জন্য কিছু যত্নের প্রয়োজন:
ব্যথা নিয়ন্ত্রণ: অস্ত্রোপচারের পর গলা ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। ডাক্তার ব্যথানাশক ঔষধ, যেমন কোডেইন বা হাইড্রোফোনের মতো শক্তিশালী ব্যথানাশক অথবা আইবুপ্রোফেন, লিখে দেবেন। নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করা ব্যথা কমাতে এবং আরামদায়ক আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।
তরল ও নরম খাদ্য: প্রথম কয়েকদিন নরম এবং ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম, দই, স্যুপ, বা নরম ফল খাওয়া উচিত। শক্ত বা অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, যা গলাকে জ্বালাতন করতে পারে। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করবে।
বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তীব্র শারীরিক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলতে হবে কয়েক সপ্তাহের জন্য।
রক্তপাত: অস্ত্রোপচারের পর অল্প রক্তপাত স্বাভাবিক, তবে যদি বেশি রক্তপাত হয় (যেমন উজ্জ্বল লাল রক্ত), তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
সংক্রমণ: সংক্রমণের লক্ষণ যেমন জ্বর, তীব্র ব্যথা বা পুঁজ দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
শেষ কথা:
টনসিলাইটিস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে নিরাময় করা সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিক বা লক্ষণ উপশমকারী চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান করা যায়। তবে, যদি বারবার সংক্রমণ হয় বা টনসিলের কারণে গুরুতর সমস্যা হয়, তবে টনসিলেক্টমি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো বারবার টনসিলের সমস্যা হয়, তবে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আপনার অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করে সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অপরিহার্য। নিজের স্বাস্থ্যকে অবহেলা না করে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।